এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুর ইউপির বাদী গোলাপি (ছদ্মনাম) (৩০) একই থানাধীন ১নং ওয়ার্ড কলসগ্রামের মৃত জলকাদের মোল্লা, মাতা আমেনা বেগম এর ছেলে মোঃ আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা (৪৬) সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষন, ধর্ষনের সহায়তা, মারপিট ও হুমকির অপরাধে অভিযুক্ত করে উল্লেখ করেন তিনি গত ১৪ জানুয়ারী ২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত ০১:৪৫ ঘটিকার সময় রাতে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাহিরে বের হলে পূর্ব থেকে দাড়িয়ে থাকা পূর্ব পরিচিত অভিযুক্ত আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা গোলাপীর গায়ে থাকা চাদর মুখের মধ্যে চেপে ধরে গোলাপীর ঘর সংলগ্ন এক রুম বিশিষ্ট এক তলা খালি বিল্ডিংয়ের মধ্যে দিয়ে গোলাপীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করলে ডাক চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে ধর্ষক গোলাপীর মুখ চেপে ধরায় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছেড়ে দিয়ে প্যান্ট পরার সময় গোলাপী রুমের বাহির থেকে ছিটকানি আটকিয়ে ডাক চিৎকার করে।
গোলাপির ডাক চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন উপস্থিত হয় এবং একই সময় আসামী আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা তার ভাইদের ও তার আত্মীয় স্বজনদের সংবাদ দিলে এবং সেই মোতাবেক অভিযুক্তর ভাইয়েরা সহ ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা সহযোগী গোলাপীকে মারধর, ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে রাত অনুমান ০২.৪০ ঘটিকায় রুম খুলে ছিনিয়ে নিয়ে মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য বাদীকে ও বাদীর পরিবারকে “থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে, দেশ ছাড়া করবে" হুমকি প্রদান করে মর্মে অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানায়
ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহায়তা এবং মারপিট করে সাধারন জখম ও হুমকি প্রদান করার অপরাধে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১)/৩০ তৎসহ পেনাল কোড ১৮৬০ সালের ৩২৩/৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়, মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন এসআই সাইদুল হক।
মামলার সূত্রে এয়ারপোর্ট থানার একটি চৌকস টিম অভিযুক্ত আজাদ হোসেন কালাম মোল্লাকে ১৫ জানুয়ারী ২০২২ খ্রিঃ অনুমান ১৭ঃ৩০ ঘটিকায় কোতয়ালী মডেল থানাধীন দপদপিয়া টোল প্লাজা থেকে গ্রেফতার করেন।
ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গোলাপী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।