BMP HQ MEDIA [25 MARCH 2021]-1
বিএমপি কমিশনার জনাব মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম বার এর দিক নির্দেশনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগ শুনে দ্রুততম সময়ে যথাযথ আইনী সেবা প্রদান করতে জননিরাপত্তায় সদাজাগ্রত বিএমপি।
এরই ধারাবাহিকতায়, নগরীর ৭ নং ওয়ার্ডের কহিনুর বেগম নামের এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে
গত ২৩ মার্চ কাউনিয়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোঃ মাসুদ রানার নেতৃত্বে ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলায় বিভিন্ন স্পটে তথ্য প্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট থানার সহায়তায় অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান পরিচালনায় টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থেকে রফিকুল ইসলামের ছেলে রোজন মিয়া(২৭) ও তমশের আলীর স্ত্রী জোবেদা আক্তার(৫৫) এবং আটককৃতদের তথ্যমতে ঢাকা জেলার রাজাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে তমশের আলীর ছেলে জে.আর এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ জহিরুল ইসলাম(৩৭)কে সহ মোট ০৩ বিকাশ প্রতারক চক্র গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মূল ঘটনাঃ ১৬ ফেব্রয়ারি বরিশাল নগরীর ০৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ফিরোজ আলমের স্ত্রী কহিনুর বেগমের কাছে ০১৩*** নম্বর থেকে একটি কল আসে।
অপরপ্রান্ত থেকে অজ্ঞাত ব্যাক্তি কহিনুরকে জানায় তার বড় ভাই মোঃ সোবাহান মিয়া নারীসহ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আটক হয়েছে। তিনি আরও বলেন পুলিশের নিকট থেকে ভাইকে ছাড়িয়ে নিতে হলে এক লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে।
কহিনুর বেগম তার পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে বাবুগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় প্রদান করা হয়। কহিনুর বেগমের তিন ভাই ও সাত বোনের সবাই গ্রামের বাড়ি আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাটে বসবাস করেন। সকল ভাই বোনের মধ্যে এতটাই ভাল সম্পর্ক এক জনের বিপদে অন্যজন জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
ভাই পুলিশের কাছে আটক হয়েছে শুনে তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন কহিনুর। তাই কোন কিছু বিচার বিশ্লেষণ না করে প্রতারকের দেয়া ০৩ টি বিকাশ নম্বরে ৩০০০০ +৩০০০০+৩০০০০=৯০০০০ হাজার এবং রকেট নম্বরে ১০০০০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।
প্রতারকের পক্ষ থেকে কিছুক্ষন পর আরও টাকা চাওয়া হয় তখন কহিনুর বেগম তার ভাই সোবাহান মিয়ার কাছে ফোন করেন। ফোন রিসিভ করে সোবাহান মিয়া জানান তার বাবাসহ তিনি পয়সারহাট বাজারে আছেন। অবশেষে কহিনুর বেগম বুঝতে পারেন বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের নামে ফোন করা ব্যাক্তি একজন প্রতারক এবং প্রদানকৃত ১ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নেয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে কহিনুর বেগম প্রতারককে বিষয়টি জানিয়ে টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক ফোন কেটে মোবাইল বন্ধ করে রাখে।
ঘটনার সুরহা পেতে বিএমপি‘র কাউনিয়া থানায় গত ২২ মার্চ ২০২১ অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
কহিনুরের দায়েরকৃত মামলা নং-০৮/৪৩ করার পর রহস্য উদঘাটন ও বিকাশ প্রতারক চক্র ধরতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কাউনিয়া মোঃ মাসুদ রানার নেতৃত্বে এসআই মোঃ মেহেদী হাসান, এএসআই মোঃ ফয়সাল সহ একটি চৌকস টিম মাঠে নামে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে রফিকুল ইসলামের ছেলে রোজন মিয়া(২৭) ও তমশের আলীর স্ত্রী জোবেদা আক্তার(৫৫)কে আটক করা হয়।
টাঙ্গইল থেকে আটককৃতদের তথ্য অনুসারে ঢাকা জেলার রাজাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে তমশের আলীর ছেলে জে.আর এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ জহিরুল ইসলাম(৩৭)কে আটক করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ও টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সহযোগিতায় আটককৃতদের নিকট থেকে ০৩ টি বিকাশ ও ০১ টি রকেট নম্বর ব্যবহৃত ০২ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এই চক্রের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।