০১ (এক) টি সচল ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা, দুইটি গোলাপি রঙ্গিন কাগজের টুকরায় মোড়ানো ০২ (দুই) টি সোনালী কালারের পিতলের বার, হাতে লেখা ০২ (দুই) টি চিঠি সাদৃশ্য কাগজের টুকরা সহ সোনা প্রতারক চক্রের ০৩ সদস্য আটক।
বিএমপি, গোয়েন্দা শাখার এসআই(নিঃ)/ মোঃ ফিরোজ আলম সঙ্গীয় এ.এস.আই(নি:)/মো: জাকির হোসেন, এএসআই(নি:)/মো: মোয়াজ্জেম হোসেন মজুমদার, কং/৩৭৬ মোঃ রুহুল আমিন, কং/১১২০ মোঃ মোজাম্মেল হকদ্বয়ের সমন্বিত টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন সোনা প্রতারক চক্রের ০২ (দুই) টি গ্রুপ যথা কাওছার ও অপু সহ তাদের গ্রুপের কতিপয় সদস্য এবং মফিজ সহ তাহার গ্রুপের কতিপয় সদস্য নকল সোনার বার দেখিয়ে কম দামে বিক্রি করার কথা বলে প্রতারনার ফাদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য গত ২৯/০৬/২০২৪ ইং তারিখ ১৪.৪০ ঘটিকায় বিএমপি, বরিশাল, কাউনিয়া থানাধীন ০৩নং ওয়ার্ড, কাউনিয়া হাউজিং সড়কস্থ, দারুল উলুম সুলতানিয়া হাফিজী মাদ্রাসার সামনে পাকা রাস্তার উপর অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ ছগির হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনায় অভিযুক্ত ০১। মো: জসিম হাওলাদার (৩২), পিতা:-আ: জব্বার হাওলাদার, মাতা:-মোসা: মমতাজ বেগম, স্থায়ীসাং-হস্তিশুন্ড, থানা:-উজিরপুর, জেলা:-বরিশাল, বর্তমানে-জনৈক মাসুদ মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া, কমিশনার গলি, বাশতলা, ০১নং ওয়ার্ড,থানা:-কাউনিয়া, বিএমপি, বরিশাল ০২। মোঃ শামীম খান (৪৫),(ভাসমান), পিতা-মোঃ মোতালেব হাওলাদার, মাতা-মোসাঃ নুরজাহান বেগম, জনৈক কালু মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া, ০১ নং ওয়ার্ড, থানা:-কাউনিয়া, বিএমপি, বরিশাল ০৩। মোঃ কালু মৃধা (৪২),(ভাসমান), পিতা-মোঃ ছিদ্দিক মৃধা, মাতা-মৃত জাহানারা বেগম, ঠিকানা-মরক খলার পোল, খালপাড় সড়ক, ০১ নং ওয়ার্ড, ওয়ার্ড, থানা:-কাউনিয়া, বিএমপি, বরিশাল এবং তাদের হেফাজত হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০১। ০১ (এক) টি সচল ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা ০২। দুইটি গোলাপি রঙ্গিন কাগজের টুকরায় মোড়ানো ০২ (দুইটি) টি সোনালী কালারের পিতলের বার ০৩। হাতে লেখা ০২ (দুই) টি চিঠি সাদৃশ্য কাগজের টুকরা উদ্ধার পূর্বক তাদেরকে আটক করেন।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উদ্ধারকৃত আলামত সমূহ ব্যাবহার করে বরিশাল শহর ও শহরের বাহির থেকে আসা সহজ-সরল, নিরিহ লোকদের বিশেষ করে সহজ-সরল নিরিহ মহিলাদের লক্ষ্য করে কৌশলে নকল সোনার বার দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে কম দামে বিক্রি করার কথা বলে প্রতারনার ফাদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য তারা সেখানে অবস্থান করছিলো এবং দীর্ঘদিন যাবৎ তারা এ কাজ করে আসছিলো।
উল্লেখ্য, উক্ত প্রতারণার কাজে জড়িত ০২ টি গ্রুপের অবশিষ্ট পলাতক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
ধৃত ও পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।